আমাদের দেশে প্রতিনিয়তই স্মার্ট ওয়াচের চাহিদা বেড়েই চলেছে। স্মার্ট ওয়াচ bluetooth এর মাধ্যমে যেকোনো সময় স্মার্টফোনের সাথে কানেক্ট করা যায়। এবং স্মার্টফোনের যাবতীয় নোটিফিকেশন এবং বিভিন্ন তথ্য স্মার্ট ওয়াচেইদেখা যায়।
এছাড়াও অসংখ্য ফিটনেস ফিচার রয়েছে স্মার্টওয়াচগুলোতে। স্মার্ট ওয়াচ এ হেলথ ফিচারের মাধ্যমে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা, ব্লাড প্রেসার লেভেল, হার্ট ব্লকেজ এবং থাইরয়েডের উপসর্গ সহজেই জানতে পারা যায়।
এইসব স্মার্ট ওয়াচ গুলোকম দামে হাতের নাগালেই পাওয়া যাচ্ছে। স্মার্ট ওয়াচ দুই থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের স্মার্ট ওয়াচ পাওয়া যায় বাংলাদেশের বাজারে। তবে আজকে আপনাদের দেখাবো স্বল্পদামে কিছু স্মার্টওয়াচ।
তাহলে চলুন দেখে আসি কম দামে সেরা পাঁচটি স্মার্টওয়াচ।
V8 Max plus
এই স্মার্ট ওয়াচ টি শুধু আপনাকে সময় দেখতেই সহায়তা করবে না । এর সাথে রয়েছে আধুনিক সব প্রযুক্তি। এই স্মার্টওয়াচটির সাহায্যে আপনি আপনার হার্ট রেট মনিটর করতে পারবেন। আপনারা যারা কম দামে হার্ট রেট মনিটর করা যায় এমন বিচারযুক্ত স্মার্টওয়াচ করছেন তাদের জন্য এই স্মার্টওয়াচটি বেস্ট হবে।
এই স্মার্ট ওয়াচটিতে পাচ্ছেন আপনি রেম, রোম এবং ক্যামেরা ব্যবহার করার সুবিধা। এছাড়াও রয়েছে কল সিস্টেম এবং ইন্টারনেট সুবিধা। এই স্মার্ট ওয়াচটিতে যে ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে সেটা দিয়ে ১০ থেকে ১২ দিন ব্যাকআপ পাওয়া সম্ভব।
স্মার্টওয়াচটিতে ব্যবহার করা হয়েছে এলসিডি ডিসপ্লে। এটিতে আরো বিভিন্ন ধরনের ফিচার রয়েছে শুধু এক্সট্রা ফিচার হিসেবে হার্ট মনিটর করার সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে।
এই স্মার্টওয়াচটির বর্তমান বাজার মূল্য দুই হাজার টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। আপনার বাজে যদি কম হয়ে থাকে তাহলে দেরি না করেই আজকেই এই স্মার্টওয়াচটি কিনে ফেলুন।
RX-Q18 NFC
এখন আপনাকে এমন একটি স্মার্টওয়াচের কথা বলব সেটি এন্ড্রয়েড সাপোর্টেড। আপনারা যারা কম দামে স্মার্টওয়াচ খুঁজছেন তাদের জন্য এই মডেলের স্মার্টওয়াচটি বেস্ট হবে।
এই স্মার্টওয়াচটিতে রয়েছে অসাধারণ কিছু ফিচার। কল সিস্টেম , ব্লুটুথ , ক্যামেরা এবং ক্যালকুলেটর ব্যবহারের সুবিধা। এটাতে আলাদাভাবে আপনি মাইক্রো এসডি কার্ড ব্যবহার করতে পারবেন। এবং ইন্টারনেটের সকল সুবিধা থাকছে এই স্মার্টওয়াচটিতে।
এটাতে আপনি সর্বোচ্চ ৩২ জিবি পর্যন্ত মাইক্রো এসডি কার্ড ব্যবহার করতে পারবেন। এই স্মার্টওয়াচটিতে 128mb ram এবং 64 এমবি স্পেস ব্যবহার করা হয়েছে। ব্যাটারি হিসেবে এই স্মার্টওয়াচটিতে ব্যবহার করা হয়েছে 500 mah এর লী পলিমার ব্যাটারি।
এই ব্যাটারি দিয়ে আপনি ১৫ থেকে ২০ দিন চার্জ ব্যাকআপ পেয়ে যাবেন। বর্তমান বাজারে এই স্মার্টওয়াচটি ১৬০০ থেকে ১৮০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। যাদের বাজেট খুবই কম তারা এই স্মার্টওয়াচটি কিনতে পারেন।
Garmin Venu SQ
অসাধারণ ডিজাইন এবং চমৎকার সব বিচার যুক্ত করা হয়েছে গার্মিন ভেন্যু এস কিউ স্মার্ট
ওয়াচ এই মডেলটিতে। গ্রাহকদের চাহিদার কথা চিন্তা করে এই স্মার্টওয়াচটিতে আধুনিক সব ফিচার যুক্ত করা হয়েছে।
এই স্মার্টওয়াচটিতে আইওএস এবং অ্যান্ড্রয়েড উভয় ডিভাইস একসঙ্গেই চলবে। এছাড়াও এতে রয়েছে জিপিএস, হৃদস্পন্দন মাপা এবং দৌড়ের বিভিন্ন তথ্য দেখা যাবে এই স্মার্টওয়াচটিতে। এছাড়াও এতে রয়েছে অক্সিজেনের মাত্রা পরিমাপ করার অপশন।
এই স্মার্টওয়াচটিতে ১.৩ ইঞ্চির আইপিএস ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়েছে। ডিসপ্লেটিতে ২.৫ ডি কার্ভড কর্নিং গরিলা গ্লাস ব্যবহার করা হয়েছে। এটিতে পাঁচ মিটার পর্যন্ত ওয়াটার রেজিস্ট্যান্স ক্ষমতা রয়েছে এই স্মার্টওয়াচের।
আপনি সাধারণ ব্যবহারে ১৫ থেকে ২০ দিন ব্যাটারি ব্যাকআপ পেয়ে যাবেন। যারা একটু ভালো মানের স্মার্টওয়াচ করছেন তারা আজকের তালিকায় থাকা এই স্মার্টওয়াচটি কিনতে পারেন। কারণ এতে রয়েছে লাউড স্পিকারের সুবিধা এবং অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম সাথে থাকছে আইওএস ব্যবহারের সুবিধা। আপনি চাইলে যেকোনো অ্যাপ এই স্মার্টওয়াচে ব্যবহার করতে পারবেন।
Xiaomi MI watch light
এখন আপনাদের শাওমি কোম্পানির একটি স্মার্টওয়াচ সম্পর্কে বলব। শাওমি কোম্পানি মোবাইল ফোনের পাশাপাশি স্মার্টওয়াচের দিক দিয়েও বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। এই কোম্পানির স্মার্টওয়াচগুলোতে অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তি এবং সুবিধা দেওয়া হয়েছে।
এই মডেলটিতে আপনি পেয়ে যাবেন জিপিএস এবং হার্ট রেট সেন্সর। এবং আরো রয়েছে ১১ টি বিভিন্ন প্রশিক্ষণ মোড। আপনি চাইলে এই স্মার্ট ওয়াচ টি দিয়ে আপনার ঘুম মনিটরিং করতে পারবেন। ব্যবহার করা হয়েছে ১.৪ ইঞ্চি আইপিএস এলসিডি ডিসপ্লে।
এই স্মার্টওয়াচটিতে ২৩০ এম্পিয়ারের ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে। এই ব্যাটারি দিয়ে সাধারণ ব্যবহারে ১৫ দিনের মত ব্যাকআপ পাওয়া যাবে। এই স্মার্ট ওয়াচটিতে ব্যবহার করা হয়েছে (5ATM) 50 মিটার পর্যন্ত ওয়াটার রেসিস্টেন্ট ক্ষমতা। এটি সম্পূর্ণ প্লাস্টিক ফ্রেমে তৈরি করা হয়েছে।
কিন্তু এটিতে কোন এফএম রেডিও, ক্যামেরা, স্পিকার, এবং আলাদা মাইক্রো এইচডি কার্ড এর ব্যবহারের সুবিধা দেওয়া হয়নি। শাওমির এই স্মার্টওয়াচটি বাংলাদেশের বাজারে ৭০০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
Realme watch 2 Pro
যারা একটি ভাল মানের রিয়েলমি কোম্পানির স্মার্ট ওয়াচ করছেন তাদের জন্য এই মডেলটি best হবে। কারণ এই স্মার্টওয়াচটিতে ব্যবহার করা হয়েছে অসাধারণ ডিজাইন এবং দুর্দান্ত ব্যাটারি। এবং এই ঘড়িটি ওয়াটারপ্রুফ করা হয়েছে।
realme এর এই স্মার্টওয়াচটি সম্পূর্ণ প্লাস্টিক ফ্রেমে তৈরি করা হয়েছে। এতে কোন সিম কার্ড ব্যবহার করার সুবিধা দেওয়া হয়নি। এতে ব্যবহার করা হয়েছে ১.৭৫ ইঞ্চির আইপিএস এলসিডি ডিসপ্লে। ডিসপ্লেটি ১৬ মিলিয়ন কালার সাপোর্ট করে। এতে মাল্টি টাচস্ক্রিন সুবিধা দেওয়া হয়েছে।
এই স্মার্টওয়াচটিতে লাউড স্পিকার, হেডফোন জ্যাক, ক্যামেরা, এবং মাইক্রো এসডি কার্ড ব্যবহার করা যাবে না। ওয়াচটিতে সেন্সর হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে Accelerometer, heart rate, Sp02 ।
ওয়াচটিতে ৩৯০ এম্পিয়ারের ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে। যেটা দিয়ে ১০ থেকে ১৫ দিন। স্মার্টওয়াচটি দুইটি কালারের লঞ্চ করা হয়েছে। ব্ল্যাক এবং ডার্ক গ্রে।
শেষ কথা:
আজকের আর্টিকেলে আপনাদের জানালাম কম দামে পাঁচটি ভালো স্মার্টওয়াচ। এই ঘড়িগুলো বাংলাদেশের বাজারে তাদের কোম্পানি শোরুম অথবা বিভিন্ন মার্কেটে পেয়ে যাবেন।আশা করি আজকের তালিকা থেকে আপনার পছন্দের স্মার্টওয়াচটিখুজে পেয়েছেন। যদি আপনার পছন্দের স্মার্টওয়াচটি না পেয়ে থাকেন তাহলে আমাদের কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন। আমরা আপনার পছন্দের স্মার্টওয়াচটি তালিকায় যুক্ত করার চেষ্টা করবো। পোস্টটি ভালো লাগলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে তাদের উপকৃত করবেন।
Post a Comment